জেলার নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের হাটটিতে বহু বছর ধরে এলাকার মানুষ বর্ষা মৌসুমের নৌকা কেনাবেচা করে জীবিকা চালান।
শুক্রবার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, নৌকার ক্রেতা না থাকায় বিরস বদনে বসে আছেন বিক্রেতারা। এ অবস্থায় তারা জীবন-জীবিকার অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
নৌকার আড়তদার সঞ্জীব হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি প্রতিবছর পুঁজি খাটিয়ে মৌসুমজুড়ে পাঁচ শতাধিক নৌকা তৈরি করেন। চার মাসে এই হাটে লাখখানেক নৌকা বেচাকেনা হয়। কিন্তু মহামারীতে এ বছর নৌকার মৌসুম শুরু হলেও হাট প্রায় ক্রেতাশূন্য।
ঝালকাঠি-পিরোজপুর ছাড়াও বরিশাল ও মাদারীপুর-ফরিদপুরের লোজজন এ হাটে এসে নৌকা কিনে নিয়ে যায়।
অমল কান্তি নামে একজন কাঠমিস্ত্রি বলেন, “প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ মাসে শুরু হয়ে হাট চলে ভাদ্র পর্যন্ত। চার মাস কাজ করে যে আয় হয় তা দিয়েই পুরো বছর চলে। এ বছর হাট শুরু হয়েছে দুই সপ্তাহ হল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে হাটে ক্রেতা নেই। তাই বেচাবিক্রিও নেই। এমন চলতে থাকলে এ বছর পথে নামতে হবে।”
ঝালকাঠি সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় দুই জেলার মানুষই এ হাটের ওপর নির্ভরশীল। প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার নৌকাশিল্পের সঙ্গে জড়িত বলে জানান চেয়ারম্যান।
এ প্রসঙ্গ ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, নৌকাশিল্পের সঙ্গে জড়িতদের এই দুর্দিনে ঋণসহ সহযোগিতা দেওয়ার ব্যপারে চেষ্টা করা হবে।