‘নমুনা না দিয়েও’ কোভিড-১৯ রোগীর তালিকায় নাম, নাকচ স্বাস্থ্যবিভাগের

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসার পর এক রোগী দাবি করেছেন পরীক্ষার জন্য কোনো নমুনা দেননি তিনি; তবে তা মানতে নারাজ স্বাস্থ্যবিভাগ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2020, 04:09 PM
Updated : 13 June 2020, 05:36 AM

গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে নতুন ২৯ জনের রিপোর্ট আসে- তার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের মো. তৌহিদুল ইসলাম নামের তরুণও রয়েছেন।

তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমি তো নমুনাই দেইনি, তাহলে পজিটিভ হলাম কীভাবে? “

ঘটনার পেছনের বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি জানান, করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ না থাকলেও পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে দেওয়া নির্ধারিত ফরম পূরণ করেন তিনি।

গত ৩ জুন তার এক চাচার মাধ্যমে তারসহ পাঁচজন ফরম পূরণ করেন। পরদিন দুপুরে তাদেরকে নমুনা দেওয়ার জন্য হাসপাতালের বুথে যেতে বলা হয়। কিন্তু ওইদিন দুপুরে ‘জরুরি কাজে আটকে যাওয়ায়’ তাদের চারজনের কেউই নমুনা দিতে যেতে পারেননি বলে দাবি করছেন তৌহিদুল।

তিনি আরো জানান, গত মঙ্গলবার বিকালে তার মোবাইলে ফোন করে জনৈক ব্যক্তি তাকে জানান যে কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে। তাকে আইসোলেশনে থাকতেও বলা হয়।

“আমার সঙ্গে ফরম পূরণ করা বাকি চারজনের কেউ এ ধরনের ফোন পায়নি। শুধু আমাকেই ফোন করে বলা হয়েছে আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ।

“আমি তো নমুনাই দেইনি, তাহলে পজিটিভ হলাম কীভাবে?

“এজন্য আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে।”

তবে খবরটি জানার পর থেকেই তিনি তার ঘরে আলাদাই থাকছেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

তৌহিদুলের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ওই তরুণ অবশ্যই স্যাম্পল দিয়েছেন। কোনো কারণে এখন তিনি অস্বীকার করছেন।

“আমি স্যাস্পল গ্রহণকারীদের সাথে কথা বলেছি। তারা বলেছেন তৌহিদুল স্যাম্পল দিয়েছেন।”

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, “স্যাস্পল সে অবশ্যই দিয়েছে। এখন কোনো কারণে অস্বীকার করছে।”

আবার অন্য কেউ তৌহিদুলের নাম ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে স্যাম্পল দিতে পারে বলেও মনে করছেন ডা. শওকত।

এ চিকিৎসক বলেন, “স্যাস্পল না দিলে কোনোভাবেই রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা নেই।”