জ্বর-কাশি: উত্তরের দুই জেলায় ২ জনের মৃত্যু

রংপুর বিভাগের দুই জেরা কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় জ্বর, সার্দি ও কাশি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ দুইজন মারা গেছেন।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিকুড়িগ্রাম ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2020, 12:24 PM
Updated : 11 June 2020, 12:24 PM

বৃহস্পতিবার দুইজনই করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে তাদের বাড়িতেই মারা যান।

প্রয়াতদের একজন (৪২) কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট এলাকার এবং অপরজন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার প্রফেসরপাড়া বাসিন্দা ছিলেন।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ বলেন, “করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার কারণে কেউ দাফনে অংশ নিতে চায়নি। পরে স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।”

স্থানীয়রা জানান, প্রয়াক যুবক সপ্তাহখানেক আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে জ্বর, সর্দি, পেটব্যথা নিয়ে চিলমারীর বাড়িতে আসেন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করলে তাকে হলে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। এ অবস্থায় রাতে শরীরের অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান তিনি।

রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করে বলেন, ওই যুবক উপসর্গ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসার পর চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বারবার নমুনা সংগ্রহ করতে বলা হলেও তারা নমুনা সংগ্রহ করেননি।

এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, “জনবল সঙ্কটের কারণে আগে নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি। মারা যাওয়ার পর নমুনা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।”

গাইবান্ধায় মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে ৭৩ বছর বয়সী এক মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরের প্রফেসরপাড়ায় তার বাড়িতে মারা যান তিনি। পরে বিকালে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।

এরআগে গত শনিবার ৬৫ বছর বয়সী অপর এক মুক্তিযোদ্ধা করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

পলাশবাড়ী থানার ওসি মাসুদার রহমান বলেন, দুপুর ২টায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থানীয় সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকালে পলাশবাড়ী উপজেলা সরকারী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিছুর রহমান বলেন, এ মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে সর্দি কাশি ও জ্বরে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন তার নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠিয়ে দিয়েছে।

“তার রির্পোট আসার আগেই তিনি বৃহস্পতিবার সকালে মারা গেলেন।”

তার পরিবারের সদস্য ও তার সংস্পর্শে আসা সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।