কাশিপুর ইউনিয়নের গন্ডব গ্রামে বুধবার এ ঘটনা ঘটে বলে লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান।
নিহতরা হলেন গন্ডব গ্রামের মুক্তার মোল্যা (৬০), তার ভাতিজা আমিনুর রহমান হাবিব (৫৫) এবং একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩০)।
ওসি আশিকুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গন্ডব গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মিরাজ মোল্যা এবং জেলা পরিষদ সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লব গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে।
নিহতরা মিরাজ মোল্যা গ্রুপের সমর্থক বলে ওসি জানান।
মিরাজ মোল্যার অভিযোগ, বুধবার দুপুরে খালিদ বাজারে যাওয়ার পথে বিনাকারণে গন্ডব গ্রামের বটতলায় বিপ্লব গ্রুপের লোকজন তাকে হাতুড়িপেটা করে।
“আমাদের লোকজন এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে বিপ্লবের লোকজন আমাদের লোকেদের ওপর ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসহ হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমার চাচা মুক্তার মোল্যা, আমিনুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হন।”
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লবের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সংঘর্ষে আহতদের নড়াইল সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তার মোল্যা ও তার ভাতিজা আমিনুর রহমান হাবিবকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত যশোর নেওয়ার পথে রফিকুল মারা যান।
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে।