প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার: তালিকা যাচাইকারী শিক্ষকের ওপর হামলা

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার আড়াই হাজার টাকার প্রাপক তালিকা যাচাইকারী আটঘরিয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রইচ উদ্দিন হামলার শিকার হয়েছেন।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 June 2020, 02:34 PM
Updated : 10 June 2020, 02:34 PM

মঙ্গলবার রাতে রামেশ্বরপুর পূর্বপাড়ায় হামলায় আহত হয়ে আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমল্পেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সরাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রইচ উদ্দিন বলেন, মাজপাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে হতদরিদ্রের জন্য ২৫০০ টাকার তালিকা যাচাই করার দায়িত্ব পান তিনি।

“আমি যাচাই বাছাই শেষে দেখি বেশিরভাগ আইডি কার্ড ও মোবাইল নম্বর ভুয়া। পাঁচ বছর আগে মারা যাওয়া রাঘবপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে শামসুল ইসলাম বিশ্বাসের নামও তালিকায় রয়েছে। সব বিষয় তুলে ধরে আমি সঠিক রিপোর্ট পেশ করি।

“রিপোটটি বিরুদ্ধে গেলে তারা আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়। গত কয়েকদিন ধরে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল। পরে সুপরিকল্পিতভাবে তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালায়। ”

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে তিনি রামেশ্বরপুর বাজার থেকে মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত আলীর সাথে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ১০/১৫ জনের একটি দল তাদের গতিরোধ করে লাঠি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং কোপায়।

“আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।”

মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত আলী বলেন,

“আমি তার সাথে মোটরসাইকেলে থাকায় তারা আমার উপরও হামলা করে। আমরা দুইজনেই হাসপাতালে ভর্তি আছি।”

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুরের বাহিনী হিসেবে পরিচিত ইউপি সদস্য জাবেদ আলীর নেতৃত্বে টিটু, আশরাফ হোসেন, উজ্জল মিয়া, রঞ্জু, আব্দুর রশিদ, সামাদ আলী, দুলাল হোসেন, ইকবাল, ফরিদ আলী, জুয়েল হোসেন ও তুহিন বিশ্বাস হামলার সময় উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন জিন্নাত আলী।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মাজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, আমারসহ বিভিন্ন লোকের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে লেখালেখি করে বেড়ায়।

“কে তাদের মারপিট করেছে আমি জানি না।”

আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আগেও অনেক অভিযোগ পেয়েছি।  সরকারের বিভিন্ন কাজে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

“আমরা উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন মিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

আটঘারিয়া থানার ওসি আসিফ মো. সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উনার হাসপাতালে চিকিৎসায় থাকায় লিখিতভাবে অভিযোগটি এখনো দিতে পারেন নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।