পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক বিভূরঞ্জন চাকমা জানান, মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টায় খাগড়াছড়ি শহরের কদমতলীর বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
৭৭ বছর বয়সে মৃত্যুর আগে এই নেতা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, সুধাসিন্ধু ত্রিপুরা অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জাতীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন।
“২০১০ সালে এই সংগঠন থেকে তিনি বের হয়ে গঠন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা)। এই সংগঠনে তিনি পরপর দুই মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।”
২০২০ সালে সম্মেলনে নতুন কমিটি হলে বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে সুধাকর জানান।
সুধাসিন্ধু খীসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণে ১৯৭১ সালে স্নাতক এবং ১৯৭৩ সালে স্নতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
বুধবার বিকালে নিজ জন্মভূমি খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার খুলারামপাড়ায় পারিবারিক শ্মশানে দাহ করা হয়।
প্রবীণ এই নেতার মৃত্যুতে পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, সাবেক সাংসদ যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, বাংলাদেশ মারমা উন্নয়ন সংসদ সভাপতি মংপ্রু চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন পৃথক পৃথক বিবৃতিতে শোক জানিয়েছেন।