ফরিদপুরের আ. লীগ নেতা সাজ্জাদকে বহিষ্কারের সুপারিশ

ফরিদপুরে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দলের শহর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2020, 04:09 PM
Updated : 9 June 2020, 04:09 PM

সোমবার শহর আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে শহর কমিটির সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী জানান।

গত ১৬ মে রাতে সুবল সাহার বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রোববার রাতে সাজ্জাদসহসহ নয় জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন বরকতের ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ হাসান, সাংবাদিক রেজাউল করিম, ফরিদপুরের পৌর কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান, বর্ধিত ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি নারায়ণ চক্রবর্তী, ইয়াসমিন সুলতানা, এনামুল ইসলাম, অমিয় সরকার ও জাহিদ খান।

শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী বলেন, সোমবার [৮ জুন] রাতে শহর আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে সাজ্জাদ হোসেনকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের কথা একটি পত্রে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।  

সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয় বলে নাজমুল ইসলাম জানান।

নাজমুল ইসলাম জানান, সাজ্জাদ হোসেন বরকতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, মানিলন্ডারিং, সর্বসাধারণের জমি দখল, নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি হামলাসহ আওয়ামী লীগ ফরিদপুর জেলা সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা-ভাংচুরসহ দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। সর্বশেষ তার দখল থেকে পুলিশ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে।

জেলা সভাপতি সুবল সাহা বলেন, সাজ্জাদ হোসেনকে বহিষ্কারের সুপারিশ সম্বলিত চিঠি পেলে তিনি নিজেও সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেবেন।

সুবল সাহার করা মামলায় রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের বদরপুর মোড় থেকে প্রথমে বরকত, রুবেল ও রেজাউল করিম বিপুল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়া অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ আরও তিনটি মামলা করে।

সাজ্জাদ হোসেন বরকতসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।