রাজশাহী বিভাগে একদিনে শনাক্ত ১২৯, মৃত্যু ২

রাজশাহী বিভাগের পাঁচ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে; মারা গেছেন দুইজন। অপর তিন জেলায় একদিনে কোনো সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ১০ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2020, 11:40 AM
Updated : 9 June 2020, 11:40 AM

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তদের মধ্যে বগুড়ার ৮৪ জন, সিরাগঞ্জের ৩৩ জন, রাজশাহীর ৯ জন, নাটোরের দুইজন ও পাবনার একজন রয়েছেন।

বিভাগের অপর তিন জেলা জয়পুরহাট, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি হিসাবে করোনাভাইরাসে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান। 

ডা. গোপেন্দ্র আচার্য্য আরও জানান, রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত এক হাজার ৭৩০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় রয়েছেন ৮৭৪ জন। এছাড়া রাজশাহীতে ৮৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৭ জন, নওগাঁয় ১৫৯ জন, নাটোরে ৬৮ জন, জয়পুরহাটে ২১৪ জন, সিরাজগঞ্জে ১৪১ জন ও পাবনায় ১৩১ জন রয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার আগের হিসাব থেকে তিনি জানান, একদিনে আরও দুইজন করোনা আক্রান্ত মারা গেছেন। এর মধ্যে একজন বগুড়ার ও একজন পাবনার। এ নিয়ে বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় মারা গেছেন ১৯ জন। রাজশাহীতে তিনজন, নওগাঁয় দুইজন, নাটোরে একজন, বগুড়ায় আটজন, সিরাজগঞ্জে দুইজন ও পাবনায় তিনজন।

ডা. গোপেন্দ্র নাথ জানান, রাজশাহী বিভাগে সরকারিভাবে তিনটি ল্যাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহীতে দুইটি ও বগুড়ায় একটি। এছাড়া অতিরিক্ত নমুনাগুলো ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও।

রাজশাহীতে প্রথম সাংবাদিক আক্রান্ত

রাজশাহীতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক ক্যামেরাপার্সন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে তার নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণ ধরা পড়ে।

ওই সাংবাদিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমানে তিনি রাজশাহী পবা উপজেলার কিসমত কুখণ্ডি গ্রামে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। কয়েকদিন ধরে তার জ্বর ছিল; কিন্তু এখন জ্বর নেই। তবে শারীরিকভবে দুর্বল।

আক্রান্ত সাংবাদিকের এক সহকর্মী জানান, কয়েকদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাই সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা দেন। এরপর তিনি বাড়ি চলে যান। বর্তমানে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে আছেন।

তার এই সহকর্মী আরও জানান, সম্প্রতি তারা দুজন পেশাগত কাজে চাঁপাইনবাবগঞ্জ গিয়েছিলেন। এছাড়া রাজশাহীর বাইরে কোথাও যাননি।