রোববার নিতপুর পূ্র্ব দিয়াড়াপাড়া গ্রামে পরিত্যক্ত একটি ট্রাক্টর থেকে এই গম উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হামিদ রেজা বলেন, “কালোবাজারে বিক্রির জন্য গম পাচারের খবর পেয়ে আমরা পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে গম বোঝাই একটি ট্রাক্টর পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পাই।”
আশপাশের কয়েকটি বাড়ি তল্লাশি করে সন্দেহজনক কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানান ইউএনও।
“পরে গমসহ ট্রাক্টরটি থানায় নিয়ে গণনা করে দেখা যায় ১৮০ বস্তা গম রয়েছে। সব বস্তাতেই খাদ্য অধিদপ্তরের সিল মারা রয়েছে।”
সরকারি হিসাব অনুযায়ী আটক গমের মূল্য ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা বলে ইউএনও জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ ঘটনার পরপরই আমরা পোরশা উপজেলার নিতপুর খাদ্য গুদাম রাতেই স্টক এবং সরকারি গুদাম চেক করে দেখেছি। কোথাও গড়মিল পাওয়া যায়নি। তাই থেকেই ধারণা করা হচ্ছে বস্তাগুলো তারা খোলা বাজারে বা অন্যকোনোভাবে সংগ্রহ করেছে।”
ইউএনও বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলার তদন্তে জানা যাবে জব্দ করা গমের সাথে কারা কীভাবে জড়িত।
নিতপুর খাদ্য গুদামের ওসি (এলএসডি) আব্দুল মতিন বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত ১৮০টি বস্তায় গম আটকের পর রোববার রাতেই ইউএনও মহোদয় খাদ্য গুদামে উপস্থিত হয়ে গমের এবং খালি বস্তার হিসাব নিয়েছেন। এতে কোনো গড়মিল তিনি পাননি।
নওগাঁ জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারুক হোসেন পাটোয়ারি বলেন, তিনি সোমবার সকালে নিতপুর সরকারি খাদ্য গুদামে মজুদ গম ও খালি বস্তার হিসাব পরীক্ষা করে দেখেছেন; কোনো গড়মিল পাননি।
“এটি কোনো প্রভাবশালী ও দালালচক্রের গম হতে পারে।”
পোরশা থানার ওসি শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, জব্দ করা ১৮০ বস্তা গম ও ট্রাক্টর থানা হেফাজতে আছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।