সদর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, রোববার বেলা সোয়া ১২টার দিকে শোয়ার ঘর থেকে এই নিঃসন্তান দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তারা হলেন সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের দরিজাগি গ্রামের আব্দুর রাশিদের ছেলে উজ্জ্বল খান (৪৫) ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার শেলি (৩৫)।
ওসি তাজুল প্রাথমিক তদন্তের তথে বলেন, সকালে বেলা বাড়লেও উজ্জ্বল-শেলি কেউই ঘুম থেকে না ওঠায় তাদের ডাকতে গিয়েছিলেন উজ্জ্বলের মা। ভেতরের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে তিনি তাদের মৃত দেখতে পান। তার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী জড়ো হয়।
পরে পুলিশ গিয়ে বিছানায় শেলির মৃতদেহ আর ঘরের ধর্ণার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উজ্জ্বলের মৃতদেহ দেখতে পায় বলে তিনি জানান।
ওসি বলেন, “সন্তান না হওয়ায় প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর বছর তিনেক আগে উজ্জ্বল শেলিকে বিয়ে করেন। তারও সন্তান হয়নি। তাছাড়া মুরগির খামার দিয়ে লোকসান হওয়ায় তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
“ এ অবস্থায় উজ্জ্বল হতাশায় দিন কাটাচ্ছিলেন। এসব কারণে স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে।”
সব দিক বিবেচনায় রেখে পুলিশ বিস্তারিত তদন্ত করছে বলে তিনি জানান। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার এসএম আশরাফুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।