শনিবার টামটা উত্তর ইউনিয়নের বলশীদ গ্রামের যুগীনগর তালুকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত জান্নাতুল মাওয়া (৫) যুগীনগর তালুকদার বাড়ির স্বামীহারা কাজল রেখার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ত।
আটক ফাতেমা বেগম (২৫) স্বামী পরিত্যক্তা এবং একই বাড়ির বাসিন্দা মৃত শামসুল হকের মেয়ে।
শাহরাস্তি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম জানান, ফাতেমা বেগম একই বাড়ির মৃত খোরশেদ আলমের বিধবা মেয়ে কাজল রেখার ঘরে গৃহকর্মীর কাজ করতেন এক সময়। ৪/৫ মাস আগে কাজ ছেড়ে দেন। পরিদর্শক শহীদুল বলেন, ফাতমা সকালে কাজল রেখার ঘরে এসে জান্নাতুল মাওয়াকে তার ছেলে আরাফাতকে (৭) খুঁজে আনতে বলেন। কিন্তু জান্নাতুল তা না করায় ফাতেমা জান্নাতুল মাওয়ার দুই হাত বেঁধে ঘরের পাশের গর্তে চুবিয়ে রাখেন।
“পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তাকে ওই গর্তের পানিতে ভাসমান দেখতে পান। উদ্ধার করে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ন্দেহভাজন হিসেবে ফাতেমা বেগমকে আটক করে বলে শহীদুল জানান।
মৃত জান্নাতুলের নানি আনোয়ারা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, “ফাতেমার ছেলে আরাফাত (৭) জানিয়েছে সে তার মাকে জান্নাতুল মাওয়ার হাত বেঁধে পানিতে ফেলতে দেখেছে।”
শাহরাস্তি থানার ওসি শাহ আলম বলেন, সাত বছর আগে ফাতেমার সঙ্গে স্বামী আব্দুর কাদেরের ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর থেকে ছেলে আরাফাতকে নিয়ে পিত্রালয়ে বসবাস করছেন তিনি। এদিকে, পাঁচ বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর কাজল রেখা ১০ বছর বয়সী ছেলেকে শশুরবাড়ি পার্শ্ববর্তী হোসেনপুর গ্রামে রেখে মেয়ে জান্নাতুলকে নিয়ে বাবার বাড়ি বসবাস করছেন।
প্রাথমিক তদন্তে শিশুটিকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে; মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি বলেন।