শনিবার বিকাল ৫টার দিকে মুকসুদপুর পৌরসভার চন্ডিবর্দী গ্রামে তার বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
প্রয়াত ব্যক্তি বিজিবি থেকে অবসরের পর মুকসুদপুর পৌর এলাকার চণ্ডীবর্দী গ্রামে বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুর রহমান জানান, গত ১ জুন ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরদিন করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। তিনি তার বাড়িতে আইসোলেসনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই ব্যক্তির আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট ও রক্ত চাপের সমস্যা ছিল।
“আমরা তাদের আগেই বলেছিলাম আপনারা এই রোগীকে ফরিদপুর হাসপাতালে নিয়ে যান কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেন নি শনিবার হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
“আমাদের কাছে মোবাইল ফোনে তারা অ্যাম্বুলেন্স চান। অ্যাম্বুলেন্স তার বাড়ি পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।”
ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও সন্তানের নমুনা পরীক্ষা করার পর শুক্রবার তাদেরও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তারা সবাই তাদের বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, ওই ব্যক্তির লাশ ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার তার বল্লভদি গ্রামে দাফন করেছেন। তাকে এ কাজে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষিত কর্মীরা সহায়তা করেছে।