গাইবান্ধায় জ্বর-কাশি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ দু’জনের মৃত্যু

গাইবান্ধায় জ্বর-কাশি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2020, 02:38 PM
Updated : 6 June 2020, 02:38 PM

শনিবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পৃথকভাবে তাদের দাফন করা হয়েছে।

প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ময়েজ উদ্দিন (৬৫) শনিবার ভোররাতে পলাশবাড়ী উপজেলা শহরের প্রফেসরপাড়ায় তার বাড়িতে মারা যান।

এছাড়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরের ৫২ বছর বয়সী এক চা বিক্রেতা শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় খলশী গ্রামে তার বাড়িতে মারা যান।

পলাশবাড়ী থানার ওসি মাসুদার রহমান বলেন, পলাশবাড়ী উপজেলা শহরের প্রফেসরপাড়া এলাকার ওই মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে সর্দি, কাশি ও জ্বরে ভুগছিলেন। আক্রান্ত হবার পর থেকে তিনি হোমিও চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

“গত ৩ দিন ধরে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। শনিবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে তার বাড়িতেই মারা যান তিনি।”

শনিবার দুপুর দেড়টায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় বলেন তিনি।

পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিছুর রহমান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাসহ তার পরিবারের ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া তার পরিবারের সদস্য ও তার সংস্পর্শে আসা সকলকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, চায়ের দোকানী গত এক সপ্তাহ থেকে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। তার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। শুক্রবার তার শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত অবস্থার অবনতি হয়। ওইদিন রাতে পরিবারের লোকজন তাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে রাত সাড়ে ১১টায় তিনি মারা যান।

তিনি আরও জানান, বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার সকাল ১১টায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ও উপজেলা দাফন কমিটির লোকজন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করেন।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মজিদুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর সংবাদ ৬/৭ ঘণ্টা পর পাওয়ায় মৃতের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। তবে তার পরিবারের সদস্য ও তার সংস্পর্শে আসা সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।