তিন জেলায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত ৬

বজ্রপাতে তিন জেলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন; যারা সবাই বৃষ্টির মধ্যে নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিকিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2020, 08:33 AM
Updated : 6 June 2020, 10:45 AM

শনিবার সকালে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, কুলিয়ারচর আর সুনামগ‌ঞ্জের ধরমপাশা উপজেলায় বজ্রপাতের এসব ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলার রনিয়া গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে পলাশ মিয়া (২৫), একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে সরফত আলী (১৬), শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের আকছির মিয়া (৫০), সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার সলফ গ্রামের মঞ্জু মিয়া (২২), কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মেন্দিপুর গ্রামের আহসান উল্লাহ মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (২৮) ও কুলিয়ারচর উপজেলার বড় ছয়সূতি গ্রামের খন্দকার হারুনের ছেলে কামরুল হাসান (১৪)।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সৌরভ বিশ্বাস জানান, সকাল ৯টার দিকে বজ্রপাতে আহত রনিয়া গ্রামের পাঁচ কিশোর-তরুণকে তাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এ সময় তিনি সরফত ও পলাশকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই সময় বজ্রপাতে আকছির মিয়া আহত হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন, জানিয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন।

আজমিরীগঞ্জের পাঁচ কিশোর-তরুণ কুশিয়া নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রাহত হন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। আর শায়েস্তাগঞ্জের আকছির মিয়া বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া ছেলেকে ফিরিয়ে আনার জন্য। পথেই তিনি বজ্রাহত হন।

সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলা বজ্রপাত হয় সকাল ৮টায়।

ধরমপাশা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, সকালে বৃষ্টির মধ্যে গ্রামের পাশে মনাই নদীতে মাছ ধরতে যান মঞ্জু মিয়া। মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে আহত হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে ধরমপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন জানান, সেলিম মিয়া সকাল ১০টার দিকে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যান। এ সময় বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আর কামরুল হাসান বাড়ির পাশের ডোবায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সকাল ৭টার দিকে। এ সময় বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাত হলে তিনিও ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানার ওসি আব্দুল হাই তালুকদার জানিয়েছেন।