রাঙামাটি সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ও করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন মোস্তফা কামাল একথা জানান।
গত ৬ মে প্রথমবারের মতো দেশের সর্বশেষ জেলা হিসেবে রাঙামাটিতে নয় মাসের শিশুসহ চারজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
সিভিল সার্জন অফিস আরও জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৯০৪ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দুই হাজার ৬৭১ জন কোয়ারেন্টিন শেষ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। এখনও কোয়ারেন্টিনে আছেন ২৩৩ জন। জেলার মোট এক হাজার ২০৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, এদের মধ্যে রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেছে এক হাজার ২০ জনের। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন ১১ জন। করোনাভা্ইরাসে এখনও কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
“তবে আশার কথা হলো রাঙামাটির আক্রান্তদের প্রায় সবারই শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক, খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন নেই না একজনেরও,” বলেন সিভিল সার্জন।
রাঙামাটিতে বেশি পরীক্ষা করাতে না পারায় হতাশা ব্যক্ত করে সিভিল সার্জন বলেন, “এখন আমরা রিপোর্ট পাঠিয়ে অন্তত ৭/১০ দিন অপেক্ষা করতে হয়। রিপোর্ট সময়মতো হাতে না পাওয়ায় আমরা শনাক্তদের সতর্ক থাকার বা রাখার নির্দেশনাও ঠিকমতো প্রদান ও বাস্তাবায়ন করতে পারছি না। জেলায় যদি ল্যাব থাকত তবে এই সমস্যাটি হতো না।”
সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, আক্রান্ত ৭০ জনের মধ্যে রাঙামাটি শহরে ৩৭ জন, লংগদু উপজেলায় পাঁচজন, জুরাছড়িতে ছয়জন, বিলাইছড়িতে দুইজন, রাজস্থলীতে একজন, কাপ্তাইয়ে ১১ জন, কাউখালীতে সাতজন, নানিয়ারচরে একজন রয়ছেন। বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও রাজস্থলীর নয়জনই সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। রাঙামাটি শহরের ৩৭ জনের মধ্যে ১৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া জেলার দুই ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা বাঘাইছড়ি ও বরকলে এখনও কেউ আক্রান্ত হয়নি।
সিভিল সার্জন অফি আরও জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৯০৪ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দুই হাজার ৬৭১ জন কোয়ারেন্টিন শেষ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। এখনও কোয়ারেন্টিনে আছেন ২৩৩ জন। জেলার মোট এক হাজার ২০৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, এদের মধ্যে রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেছে এক হাজার ২০ জনের। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন ১১ জন। করোনায় এখনও কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে একজন উপজেলা প্রকৌশলীসহ পাঁচজন মারা গেলেও মৃত্যু পরবর্তী সময়ে আসা রিপোর্টে কারও দেহে সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।