মহানগর পুলিশের তাজহাট থানার ওসি শেখ রোকোনুজ্জামান জানান, শুক্রবার দুপুরে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মদাস বারো আউলিয়া গ্রামে ওই আইনজীবীর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আসাদুল হক (৬০) রংপুর আদালতের সাবেক সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে একা ছিলেন।
ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী এক যুবককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে বলে ওসি জানান।
বাড়ির দেওয়াল টপকে পালানোর সময় স্থানীয় কয়েকজন মুসল্লি রতনকে হাতেনাতে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেন বলে তারা জানান।
এলাকাবাসী আরও জানান, আটক রতন মিয়া একই গ্রামের মৃত জাফর আলী ড্রাইভারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন মাদকসেবন, চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। এর আগেও ওই আইনজীবীর বাড়িতে দুই-তিনবার চুরির ঘটনায় গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে রতনকে সতর্ক করা হয়েছিল।
তাজহাট থানার ওসি শেখ রোকোনুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রতন মিয়া হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। চুরি ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত রতনের অপর সহযোগীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী সাবেরা রহমান শেফালী বলেন, “করোনাভাইরাসের কারণে আমি গ্রামের বাড়ি মিঠাপুকুরে ছিলাম। সেখান থেকে খবর পেয়ে এসে দেখি আমার স্বামীকে হত্যা করেছে।
“এর আগেও রতন মিয়া একাধিকবার আমার বাড়ি চুরি করেছে; কিন্তু গ্রাম্য বিচারে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবার তার চুরি করা দেখে ফেলায় আমার স্বামীকে খুন করেছে।”
তিনি হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
রংপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জজ আদালদের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামানিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আব্দুল মালেক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। আগামী রোববার বার সমিতির সভা করে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”