রাজশাহীর আম ঢাকা যাবে ‘১ টাকা ১৮ পয়সায়’

করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতে ট্রেনে রাজশাহী থেকে প্রতি কেজি আম এক টাকা ১৮ পয়সায় ঢাকা পাঠানো যাবে বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2020, 02:40 PM
Updated : 4 June 2020, 02:40 PM

শুক্রবার থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা রুটে একটি ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ চালু হচ্ছে বলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ জানান।

বৃহস্পতিবার রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যখন ঢাকা যাবে তখন ট্রেনটির নাম হবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন-২’। আর ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফেরার পথে নাম হবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন-১’।

ট্রেনটি সপ্তাহে প্রতিদিন চলাচল করবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিকাল ৪টায় ছেড়ে আসবে; রাজশাহী পৌঁছাবে ৫টা ২০ মিনিটে। এখানে ৩০ মিনিট থেমে ৫টা ৫০ মিনিট ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে। এরপর ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ১টায়। ঢাকা থেকে রাত ২টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে আসবে। রাজশাহী পৌঁছাবে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে। এখানে ২০ মিনিট থেমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। পৌঁছাবে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে।

“ট্রেনটিতে মোট ছয়টি ওয়াগন থাকবে। প্রতিটি ওয়াগনে ৪৫ হাজার কেজি আম নেওয়া যাবে। তবে শুধু আম নয়, সকল প্রকার শাকসবজি, ফলমূল, ডিমসহ নানা কৃষিপণ্য, বাড়ির আসবাবপত্র এবং রেলওয়ের আইনে পার্সেল হিসেবে বহনযোগ্য সব সামগ্রী বহন করা হবে।”

ফুয়াদ হোসেন জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে এসে ট্রেনটি আমনূরা বাইপাস, কাঁকনহাট, রাজশাহী, সরদহ, আড়ানি ও আব্দুলপুর বাইপাস স্টেশনে থামবে। এসব স্থানে আমসহ পার্সেল পণ্য ট্রেনে তোলা হবে। টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, টঙ্গী, বিমানবন্দর, ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও এবং কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনটি থামবে। ঢাকা থেকে ফেরার পথে তেজগাঁও, টঙ্গী, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, চাটমোহর এবং রাজশাহী স্টেশনে থামবে।

তবে যাত্রাপথে কোথাও সাধারণ যাত্রী এ ট্রেনে তোলা হবে না বলে তিনি জানান।

ফুয়াদ হোসেন জানান, ট্রেনটিতে রাজশাহী স্টেশন থেকে এক কেজি আম ঢাকার বিমানবন্দর, তেজগাঁও বা কমলাপুরে নিতে খরচ পড়বে এক টাকা ১৮ পয়সা। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে খরচ পড়বে এক টাকা ৩০ পয়সা। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন ছাড়ার আগে যে কেউ তাদের মালামাল বুকিং দিতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিম রেলের কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগকালে চাষিদের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী থেকে এবারই প্রথম এ ধরনের ট্রেন চালু করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “‘লকডাউনে’ বেশিরভাগ ট্রেন বন্ধ থাকায় ট্র্যাক যেমন ফাঁকা থাকছে তেমনি অনেক ইঞ্জিনও পড়ে আছে। তাই এটা সম্ভব। কিন্তু সব ট্রেন যখন চালু হবে কিংবা আমের মৌসুম শেষ হলে এটি চালানো সম্ভব হবে না।”

সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আহছান উল্লা ভুঁইয়া, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্রেনটি চালু করতে বৃহস্পতিবারই সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে তারা জানান।