১৭ বছর বয়সী এই কিশোরের বাড়ি জেলার ত্রিশাল উপজেলার চড়ুইতলা গ্রামে।
ওসি ফিরোজ বলেন, গত ২২ এপ্রিল করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এই কিশোর শহরের এসকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরিবার না আসায় লাশটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছিল।
সম্প্রতি তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কর্তৃপক্ষ।
ওসি বলেন, কিশোরের বাবা বুধবার আবেদনের মাধ্যমে লাশ নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। ‘পরিবার ও এলাকাবাসীর নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’ বলে আবেদনে উল্লেখ করেন তিনি। পরে লাশ দাফনের উদ্যোগ নেয় পুলিশ। ধর্মীয় নিয়মে বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের ভাটিকাশর গোরস্থানে লাশ দাফন করা হয়
মৃত্যুর পর কিশোরের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে।
জেলার সিভিল সার্জন এবিএম মসিউল আলম জানান, এসকে হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসার পর মৃত্যু হলে কিশোরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
তবু কেন পরিবার লাশ নেয়নি সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। এ বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম পরিবারের বক্তব্য জানতে পারেনি।