নিহত রণজিৎ রিকমন (৩০) জুড়ি উপজেলার ধামাই চা বাগানের তাঁতিপাড়া এলাকার রসিক লাল রিকমনের ছেলে।
আহত মলেন মুণ্ডা (৩২) একই উপজেলার শিলুয়া চা-বাগানের কুচাই এলাকার বাসিন্দা।
জুড়ি থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বিজিবির বরাতে জানান, মঙ্গলবার ভোরে ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানার পুতনি চা-বাগানে গরুচোর সন্দেহে চারজনকে আটক করে সেখানকার লোকজন।
“চারজনের মধ্যে রণজিৎ ও মলেন মুণ্ডা নামে দুই বাংলাদেশি ছিলেন। রণজিৎ গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলে মারা যান। আর মলেন মুণ্ডা আহত হন। তাকে ভারতের পুলিশ হেফাজতে রেখে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
আহত ভারতীয় দুই ব্যক্তিকেও ভারতের পুলিশ সেখানকার পাথারকান্দি সরকারি হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে করিমগঞ্জের সাংবাদিক সাগনিক চৌধুরী জানিয়েছেন।
ওসি জাহাঙ্গীর বলেন, নিহত রণজিতের লাশ ও আহত মলেন মুণ্ডাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
লাশ ফিরিয়ে আনতে বিএসএফের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির শ্রীমঙ্গল সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গাজী মোহাম্মদ সাজ্জাদ।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে লাশ হস্তান্তরের কথা রয়েছে। ভারতের অংশে রাস্তাঘাট খারাপ ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিলম্ব হচ্ছে। তবে লাশ পাঠানোর সমস্ত কার্যক্রম ভারতে সম্পন্ন হয়ে গেছে।