শরীয়তপুরে ‘সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত’, বাড়িঘর ভাঙচুর

শরীয়তপুরে রাস্তায় সৌরবিদ্যুতের বাতি জ্বালানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক ব্যক্তি ‘নিহত হয়েছেন’।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 June 2020, 01:22 PM
Updated : 3 June 2020, 01:22 PM

তবে পুলিশ বলছে ওই ব্যক্তি সংঘর্ষের দুই ঘণ্টা পর জ্ঞান হারিয়ে মারা যান।

জাজিরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মজিদ বকুল জানান, বুধবার সকালে রাড়িপাড়া নমকান্দি গ্রামে ইসমাইল খান(৬০) নামে এই ব্যক্তি মারা যান।

ইসমাইল ওই এলাকার বিলদেওয়ানিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

নমকান্দি গ্রামের মসজিদের সামনে রাস্তায় সৌরবিদ্যুতের বাতি জ্বালানোকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের কথাকাটি হয়। দুই পক্ষ হল জাজিরা পৌরসভার কাউন্সিলন নূরুল আমিন খান ও রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবু আলম মাদবর।

আলম মাদবর বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় তার চাচা ইসমাইল ওই পথ দিয়ে বাড়ি আসছিলেন।

“পথে নূরুল আমিনের নেতৃত্বে লোকজন তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে তিনি মারা যান।”

তিনি একে হত্যাকাণ্ড দাবি করে বিচার চেয়েছেন।

তবে কাউন্সিলর নূরুল আমিন বলছেন, “ঘটনার দুই ঘণ্টা পরে ইসমাইল হার্ট অ্যাটাক করে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কেউ তাকে হত্যা করেনি।”

ইসমাইল খানের গায়ে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন।

নূরুল আমিন আরও অভিযোগ করেছেন, আলম মাদবরের নেতৃত্বে তার লোকজন তাদের দুই শতাধিক বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে পরিদর্শক বকুল বলেন, মঙ্গলবার বাতি জ্বালানোকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ছয়-সাতজন আহত হন।

“ওই ঘটনার জেরে বুধবার ভোরে আলম সমর্থকরা শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নূরুল আমিনের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করে। তারা শতাধিক বাড়িঘর কুপিয়ে ও ভাংচুর করে তছনছ করে।”

পরিদর্শক  বলেন, এ সময় আলম মাদবরের সমর্থক ইসমাইল জ্ঞান হারান। স্থানীয়রা তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হলে তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন সিকদার বলেন, দুই দলের সংঘর্ষের দুই ঘণ্টা পরে ইসমাইল অসুস্থ হন। স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে এলাকায় উত্তজেনা দেখা দেওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।