টাঙ্গাইলের ৪ উপজেলায় যমুনার ভাঙন

বর্ষার শুরুতেই টাঙ্গাইলের সদর, কালিহাতী, ভুঞাপুর ও নাগরপুরে উপজেলার যমুনা নদীর পূর্ব পাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে; এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে এসব এলাকার লোকজনের মাঝে।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 June 2020, 08:13 AM
Updated : 3 June 2020, 08:13 AM

গত ২৮ মে থেকে এ চার উপজেলায় ভাঙন শুরু হয় বলে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান।

স্থানীয়রা জানান, বর্ষার শুরুতেই জেলার কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের আলীপুর, বেলটিয়া, দুর্গাপুর ইউনিয়নের ভৈরববাড়ী, সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের কাকুয়া, চর পৌলী ও ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া, চিতুলিয়া পাড়া এবং নগরপুরের সলিমাবাদ ইনিয়নের দুটি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

আলীপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এ বছরের বর্ষার শুরুতেই গত কয়েক দিনের ভাঙনে অন্তত ১৫টি ঘরবাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে।”

এছাড়া আরও শতাধিক বাড়ি, আলীপুর মসজিদ, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা ও মন্দিরসহ শত শত পাকা-আধা পাকা ঘরবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানান তিনি।

গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের আলীপুরের মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালম আজাতের অভিযোগ, “নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে এই ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা ভাঙন রোধে বাঁধ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, “টাঙ্গাইল সদরসহ যে যে এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে, ওই সকল এলকায় ভাঙন ঠেকাতে আপদকালীন অস্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজের অনুমতি চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলেই কাজ শুরু করা হবে। পাশাপাশি ভূঞাপুরের গবিন্দাসী এলকার গোপালগঞ্জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যাতে নদী গর্ভে না যায় তার চেষ্ট করা হচ্ছে।”

অপরদিকে কালিহাতী উপজেলা গোহালিয়াবাড়ী এলকায় যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর মুখ পয়েন্টে পানি চলাচলের জন্য দুইপাশে ভাঙন প্রতিরোধে ব্লক ফেলার কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান এই নির্বাহী প্রকৌশলী।