সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানান, রোববার রাত ৩টার দিকে চেয়ারম্যান আনিস-উজ-জামানের বাড়িতে ডাকাতির এই ঘটনা ঘটে।
ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১০০ ভরি সোনার গয়না ও পাঁচ লাখ টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ।
পরিদর্শক সালাউদ্দিন পরিবারের বরাতে বলেন, সাত-আটজনের ডাকাতদল বাড়ির দ্বিতীয় তলায় পশ্চিম পাশের গ্রিলহীন কাচের জানালা খুলে ভেতরে ঢোকে। প্রথমে তারা চেয়ারম্যানের বড় ছেলে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান রাজীবের ঘরে ঢুকে তাকে মারধর করে বেঁধে রাখে।
“রাজীবের ঘরে লুটপাটের পর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে দিয়ে তার ছোট ভাই জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি জালাল উদ্দিন রুমী রাজনের ঘরের ঘরের দরজা খোলায়। রাজনকেও মারধর করে অস্ত্রর মুখে বেঁধে ফেলে। পরে লুটপাট করে। একইভাবে চেয়ারম্যান আনিস-উজ-জামানের ঘরে ঢুকে ডাকাতি করে।”
পরিদর্শক বলেন, আনিস-উজ-জামানের স্ত্রী আমেরিকায় রয়েছেন। তবে তার দুই ছেলে ও পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতেই ছিলেন।
“ডাকাতরা পাঁচ লাখ টাকা ও ১০০ ভরি সোনার গয়না নিয়ে গেছে বলে পুলিশ অভিযোগ পেয়েছে।”
তবে ডাকাতরা কিভাবে জানালা খুলেছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। জানালা খোলা ছিল কিনা তাও তিনি বা চেয়ারম্যানের পরিবার বলতে পারেনি।
চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে রাজন বলেন, “ডাকাতরা ফরিদপুর-শরীয়তপুর এলাকার ভাষায় কথা বলেছে। তারা স্থানীয় কারও সহযোগিতা নিয়ে ডাকাতি করেছে। হয়তো তাদের সঙ্গে আত্মগোপন করে আছে। সঠিক তৎপরতা থাকলে ডাকাতদের ধরা যাবে।
“ডাকাতি করে তারা পশ্চিম দিক দিয়ে দেওভোগের দিক দিয়ে বেড়িয়ে গেছে। তারা এখনও এ এলাকায়ই রয়েছে হয়ত। ডাকাতরা আমাকে, বাবাকে ও ভাইকে মারধর করেছে। ভেতরে সাত-আটজন প্রবেশ করলেও বাইরে আরও ডাকাত ছিল।”
পুলিশ ডাকাত ধরতে তৎপরতা শুরু করেছে বলে জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “পুলিশ কাজ করছে। জেলার সব চেকপোস্টকে সর্তক রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।”