শুক্রবার রাতে ঢাকার ধানমণ্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।
আবু নাছের (৩৫) বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামূড়া গ্রামের আবু শামার ছেলে।
গত ২৪ মে নজরপুর গ্রামে নাছেরের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ ওঠে বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু কাউসার ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার [২৬ মে] নাছেরের বাবা আবু শামা বাদী হয়ে কাউসারকে প্রধান আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘মাদক বিরোধীর হাত-পা ভাঙার অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ হয়।
বিজয়নগর থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, নাছেরের মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে যদি আঘাতজনিত কারণে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয় তাহলে তার বাবার করা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
“কাউসারসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।”
নাছেরের ভাবি রোকেয়া বেগম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৩ মে বিকালে ‘মাদকের কারবারে জড়িত’ সেজামূড়া গ্রামের বাসিন্দা ও বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু কাউসার ভূঁইয়া এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গ্রামের মুরুব্বি ও যুবকদের নিয়ে স্থানীয় একটি স্কুল মাঠে মাদকবিরোধী সভা অনুষ্ঠিত হয়। আবু নাছের ওই সভার আয়োজকদের একজন ছিলেন। ওই সভায় সেজামূড়া গ্রামের ওপর দিয়ে মাদকের পাচার করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২৭ মে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত আবু নাছের সাংবাদিকদের বলেন, ২৪ মে সকালে তার দাদি মারা যাওয়ায় কাফনের কাপড় কিনতে স্থানীয় আউলিয়া বাজারে যান তিনি। কাপড় কিনে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় নজরপুর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে কাউসারসহ ১২/১৪ জন তাকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাছেরকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।