শুক্রবার বিকেল ৬টার দিকে ফরিদপুরের মধুখালী মরিচ বাজারের এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আহত ওই দোকান কর্মচারী তাপসকে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কবির সরদার জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর তাপসের শরীরে হঠাৎ রক্তক্ষরণ হয়। শনিবার সকালে তার শরীরে এক ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে।
মধুখালী থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, “তাপসকে তিন জন মিলেই নির্যাতন করেছে। এটাই প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
“এ ঘটনায় থানায় করা মামলায় অভিযুক্ত তিন জনের মধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছি।”
স্থানীয়দের ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের কান্দাকুল গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তাপস প্রায় এক বছর ধরে মরিচ বাজারের বিপ্লব সাহার চা ও মুদি দোকানে কাজ করে আসছেন। তাকে শুধু খাবারই দেওয়া হতো। কোনো বেতন দিতেন না দোকান মালিক। গত কয়েক মাস ধরে তাপস দোকান মালিকের কাছে বেতন চাইছিলেন। ‘এ কারণে শুক্রবার সকালে তাপসকে মারধর করা হয় এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে গরম খুন্তি ও স্টিলের গরম পাইপ দিয়ে ঘাড়ে, হাতে ও পিঠে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাদের।
শনিবার দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান (পিপিএম সেবা) আহত তাপসকে দেখতে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান।