শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা যাওয়ার পথে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ওই কর্মী মারা যান বলে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন জানান।
৬৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের ফরিদকান্দি গ্রামে। তিনি ঢাকার গণপূর্ত অধিদপ্তরের আরবরিকালচারের পিতল পলিশম্যান পদে কর্মরত ছিলেন।
নুসরাস বলেন, “ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করে বাড়িতে এসেছিলেন। আমরা তার অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়েছি ঈদের আগের দিন; ওই সময় তিনি বাড়িতেই ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার মুগদা হাসপাতালে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।”
মারা যাওয়া ব্যক্তির ছেলে সাংবাদিকদের বলেন,“গত ২২ মে শুক্রবার বাবা নমুনা পরীক্ষার জন্য দিয়েছিলেন। এরপর সেদিনই তিনি বাড়িতে চলে আসেন। এর দুদিন পর আমাদেরকে জানানো হয়- ‘তার আংশিক প্রবলেম আছে।’ তবে বাবা করোনাভাইরাস পজেটিভ ছিল কি-না তা ক্লিয়ারলি বলা হয়নি।“
সুলতানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর মোর্শেদ স্বপন বলেন, “আমরা সব সময় ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। আমরা গতকালও তাকে ভালো দেখেছি; বাজারও করে দিয়েছিলাম।”
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম জহিরুল হায়াৎ বলেন, “গণপূর্ত অধিদপ্তরের ওই কর্মী হোম আইসোলেশনে ছিলেন; তার বাড়ি অবরুদ্ধ ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে দাফন করা হবে।”
করোনাভাইরাস উপসর্গে মৃত্যু:
কোভিড-১৯ উপসর্গ (জ্বর-কাশি) নিয়ে চাঁদপুর শহরে ৫৫ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের নিউট্রাক রোডে বটতলা এলাকার কাজী অফিস সংলগ্ন নিজ বাসায় তিনি মারা যান।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম বলেন, ওই ব্যক্তি গত ৫ দিন ধরে প্রচন্ড জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। শুক্রবার রাতে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে বাসায়ই তিনি মারা যান।
তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হবে বলে জানান এ স্বাস্থ্য কর্মর্তা।