ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তারে কয়েক দফা হামলা

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দুই দিন ধরে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2020, 04:40 PM
Updated : 29 May 2020, 04:40 PM

আগের দিন ও শুক্রবার চতুল ইউনিয়নের রামনগর, বনচাকি, গুনবহা গ্রামের ভেনাতলা, উমরনগরের এ সব হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।

হামলাকারীরা বসতবাড়ির গবাদি পশু ও বাড়ি মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেন।

শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বোয়ালমারীতে উমরনগর গ্রামে দ্বিতীয় দফা হামলায় প্রায় ১০/১২টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। আগের দিনও একই গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান বলেন, “কেন এমন হচ্ছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। দোষী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে।”

তিনি বলেন, যদি থানা পুলিশের গাফিলতি থাকে তাহলে তাকেও জবাবদিহি করতে হবে।

গুরবহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, উমরনগর গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য দাউদ শেখ এবং গুনবহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, এই গ্রামে গত বৃহস্পতিবার সকালে হামলা চালায় ‘দাউদ মেম্বারের সমর্থকরা।’মে শুক্রবার সকালে আবার একই গ্রুপের প্রায় ৫০/৬০ জনের একটি দল হামলা চালিয়ে ১০/১২টি বাড়িঘর, ভাংচুর ও লুটপাট করে।

এ সময় ঘরের আসবাবপত্র, ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন জিনিস ভাংচুর করা হয়। এতে বাধা দিতে গেলে কয়েকজন নারী নিগৃহীত হয় বলে তাদের অভিযোগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উমরনগর গ্রামের মিজানুর রহমান, কামরুল মোল্যা, জিল্লুর রহমান, শফিকুর রহমান, সাইফুর রহমান, জিলহজ্ব মোল্যা, লাবু মোল্যা, আমজাদ মোল্যা, কোবাদ মোল্যা, ইশারত মোল্যার বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এছাড়া গবাদিপশু ও বাড়িতে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মিজানুর রহমান বলেন, “পরিবার নিয়ে আমি বোয়ালমারীতে ভাড়া বাসায় থাকি। গ্রামে যাওয়া হয় না ছয় মাস। ওরা আমার বাড়ীটিকে ছাড় দেয়নি। ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।”

বোয়ালমারীর গুনবহা ইউনিয়নের উমরনগর গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য দাউদ শেখ বলেন, “সিরাজুল ইসলাম মেম্বারের লোকজন ধান কাটার নামে মাঠে লোক জড়ো করে। পরে তারা আমাদের লোকদের উপর হামলা করলে, পাল্টা হামলা করে আমাদের সমর্থকরা।”