শুক্রবার সকালে কেন্দ্রের পরিচর্যাকারীরা জুলিয়েটের বাসায় এই ডিমের সন্ধান পান বলে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানিয়েছেন।
কবির বলেন, গত বছর ৯ মে জুলিয়েট ৪৪টি ডিম পাড়লেও তা থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে বাচ্চ ফোটেনি। তার আগের বছরগুলোয় তার ডিম থেকে নিয়মিত বাচ্চা ফুটেছে। এবার কৃত্রিম উপায়ে বাচ্চা ফোটানোর চেষ্টা করছেন পরিচর্যাকারা। ৫২টি ডিমের মধ্যে ১৪টি জুলিয়েটের আস্তানায় রেখে বাকিগুলো ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে।
৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে বাচ্চা ফুটবে বলে আশা করছেন তিনি।
কবির জানান, ২০০২ সালে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রটি গড়ে তোলে সরকার। ওই বছরই লবণপানির দুটি কুমির ছাড়া হয়। তাদের মধ্যে পুরুষ কুমিরটির নাম রাখা হয় রোমিও আর স্ত্রীটির নাম জুলিয়েট। এরপর ২০১০ সালে আরও একটি স্ত্রী কুমির আনা হয়। তার নাম পিলপিল। রোমিও-জুলিয়েটের বয়স ৩৫ বছর। আর পিলপিলের বয়স ২৮ বছর।
বর্তমানে করমজল প্রজনন কেন্দ্রে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯৫টি কুমির রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শুরুর পর থেকে এই কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রামের সাফারি পার্কসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৯৭টি কুমির সরবরাহ করা হয়েছে।