ঝালকাঠিতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ৬

ঝালকাঠিতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মা-মেয়েসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

ঝালকাঠি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2020, 11:22 AM
Updated : 29 May 2020, 11:22 AM

জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা বাজার এলাকাবার এ ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে কাঁঠালিয়া থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানিয়েছেন।

আটক চারজন হলেন পাটিখালঘাটা এলাকার আফজাল মজাদ্দারের ছেলে মো. রিপন জমাদ্দার (১৯), বেল্লাল হোসেন হাওলাদারের ছেলে মো. রাকিব হাওলাদার (১৯), একই উপজেলার পশ্চিম চেচরী গ্রামের সারু খানের ছেলে বেল্লাল খান (২৩) ও পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মো. মহারাজ হাওলাদারের ছেলে আক্কাস হাওলাদার (২৬)।

এছাড়া ৩৮ বছর বয়সী এক নারী ও তার ২০ বছর বয়সী মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।

ওসি মামলার নথির বরাতে বলেন, পিরোজপুর জেলার বইঠাকাটা উপজেলার একটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী, তার বন্ধু মো. রিমন ওরফে তানভীর হাওলাদার (২৩) ও রায়হান মোটরসাইকেলে করে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় রিমনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন বুধবার রাতে। পথে পাটিখালঘাটা মাঝের পোল নামক এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, পাটিখালঘাটা এলাকার ছালাম হাওলাদারের ছেলে মো. জনি হাওলাদার (২৩) তার সঙ্গীদের নিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে অপহরণ করেন। আর রায়হান ও রিমনকে আটকে রেখে জঙ্গলে নিয়ে কলেজছাত্রীকে জনি ধর্ষণ করেন। পরে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা।

ওসি বলেন, ১০ আসামির মধ্যে মা-মেয়েসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে কলেজছাত্রী ও তার দুই বন্ধুকে। ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে মুক্তিপণে টাকা নিয়ে রিমনের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়দের সহয়তায় পুলিশ টাকা নিতে আসা রিপনকে আটক করে। পরে আটক করা হয় অন্য পাঁচজনকে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে কলেজছাত্রী ও তার দুই বন্ধুকে উদ্ধার করা হয়।

তবে মামলার মূল আসামি জনিসহ চারজন এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি পুলক চন্দ্র রায়।