রংপুর দিনাজপুরের পর ‘স্পিরিট’ পানে মৃত্যু এবার বগুড়ায়

রংপুর ও দিনাজপুরে প্রায় দেড় ডজন মানুষের মৃত্যুর পর এবার ‘স্পিরিট’ পানে বগুড়ায় দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।  

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2020, 12:00 PM
Updated : 28 May 2020, 12:00 PM

ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের ঈশ্বরঘাট গ্রামের এই দুই জনের মধ্যে একজন বুধবার দুপুরে নিজ বাড়িতে এবং আরেকজন বৃহস্পতিবার ভোর রাতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

এরা হলেন ঈশ্বরঘাট গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে কসাই আল আমিন (২৮) ও একই গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেরে গাড়ি চালক আব্দুল আলিম (৩০)।

এছাড়া একই গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে লালন (৩০) নামে আরেকজনের অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তা জানা যায়নি।  

এর আগে ‘স্পিরিট’ পানে গত বুধবার বিভিন্ন সময়ে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নয়জনের মৃত্যু হয়ছে।

একই কারণে রংপুরে গত সোম থেকে বুধবার এই তিন দিনে আটজনের মৃত্যু হয়।

ইশ্বরঘাট গ্রামের হারেজ উদ্দিন বলেন, আল আমিন, আব্দুল আলিম ও লালন বুধবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী জেলা সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী বাজারে যান। সেখানে ‘স্পিরিট’ পান করে দুপুরে বাড়ি ফেরেন।

“হঠাৎ অসুস্থ হয়ে আল আমিন দুপুরে নিজ বাড়িতে মারা যান। আর অসুস্থ হয়ে আলিম শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় তার মৃত্যু হয়।”

তবে লালন কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বা কোথায় গিয়েছেন তা তিনি বলতে পারেননি।

ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মারা যাওয়া আল আমিন মাংশ বিক্রেতা এবং আলিম ঢাকায় গাড়ি চালাতেন।

“প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পাশের সোনামুখী বাজার থেকে তারা ‘রেকটিফায়েড স্পিরিট’ পান করেছিলেন। তবে লাশ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কী খেয়েছিলেন।”

কোথা থেকে তারা ‘স্পিরিট’ কিনেছিলেন তা তদন্ত করে বের করা হবে বলে ওসি জানান।  

৯৫ শতাংশ ইথাইল অ্যালকোহলের জলীয় দ্রবণকে বলা হয় রেকটিফায়েড স্পিরিট। পানের অযোগ্য করার জন্য রেকটিফায়েড স্পিরিটের সঙ্গে ১০ শতাংশ মিথাইল অ্যালকোহল এবং কিছু রাসায়নিক মেশানো হয়। তখন একে বলে মেথিলেটেড স্পিরিট।