‘স্পিরিট’ পানে ১৭ মৃত্যু, হোমিও দোকানি গ্রেপ্তার

‘স্পিরিট’ পান করে উত্তরের দুই জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭ জন; এ ঘটনায় দিনাজপুরে এক হোমিও ওষুধের দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

দিনাজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2020, 09:43 AM
Updated : 28 May 2020, 09:43 AM

দিনাজপুরের বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার বিভিন্ন সময়ে নয়জনের মৃত্যু হয়।

আর ঈদের ছুটির মধ্যে নেশা করতে ‘স্পিরিট’ পান করে পাশের জেলা রংপুরে গত সোম থেকে বুধ- তিন দিনে আটজনের মৃত্যু হয়।

বিরামপুরের ওসি জানান, বিষাক্ত স্পিরিট বিক্রির ঘটনায় বুধবার পৌর এলাকার একটি হোমিও ফার্মেসির মালিক আব্দুল মান্নানসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে বুধবার রাতেই আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়।   

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অসুস্থ্ প্রত্যেকেই ‘স্পিরিট জাতীয় বিষাক্ত পানীয়’ পান করেছিলেন।

এর মধ্যে বুধবার ভোরে বিরামপুরের শান্তিনগর এলাকার আনোয়ারের ছেলে আব্দুল মতিন, মাহমুদপুর এলাকার তোজাম শাহর ছেলে আজিজুল ইসলাম ও সুলতানের ছেলে মহসীন আলীর মৃত্যু হয়।

এর দুই ঘণ্টা পর হঠাৎপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা এবং ইসলামপাড়ার তাপস রায়ের ছেলে অমৃত মারা যান।

তাদের মধ্যে চারজনের মুত্যু হয় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার পর। অপর দুইজন মেডিকেলে নেওয়ার পথে মারা যান।

এরপর সন্ধ্যা ৭টায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আজিজার রহমানের ছেলে সোহেল রানা, আফিল উদ্দিনের ছেলে মনো মিয়া এবং রাত ৯টার দিকে আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল আলিম মারা যান।

স্পিরিট পানের ঘটনায় অসুস্থ হয়ে আরও দুইজন বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং দুইজন দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান ওসি।

হাসপাতালে ভর্তি দুজনের বরাতে বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা মান্নানের হোমিও ফার্মেসি থেকে রেক্টিফায়েড স্পিরিট কিনেছিল। আরও কয়েকটি হোমিও দোকানে স্পিরিট বিক্রি হয় বলে তারা খবর দিয়েছে।”

তবে স্পিরিটের সঙ্গে অন্য কিছু মেশানো হয়েছিল কি না সেটা ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।