সরকারি নির্দেশনা মেনে শ্রমিকদের কয়েক ধাপের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বুধবার কারখানায় প্রবেশ করানো হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গত সোমবার জেলা শহরের কাছে মেঘলায় অবস্থিত লুম্বিনী লিমিটেড নামের এই পোশাক কারখানা অবরুদ্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে শ্রমিক-কর্মচারীদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল ওই সময়।
লুম্বিনী লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও জনসংযোগ) মফিজুল ইসলাম মামুন বলেন, যে শ্রমিকের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় তিনি ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি ছিলেন।
মামুন বলেন, কাজে যোগদান করতে ১৮ তারিখ বান্দরবানে এলে তার করোনাভাইরাস উপসর্গ দেখা দেয়। স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করলে তাদের লোকজন নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। পরবর্তীতে রিপোর্টে পজেটিভ ধরা পড়ে।
“যেহেতু ওই শ্রমিক কারখানায় কাজে যোগদান করেননি; সে কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে কারখানা চালু করা হয়েছে। আর স্বাস্থ্যবিধি তো মানা হচ্ছেই।”
মফিজুল ইসলাম মামুন আরও বলেন, কারখানার পাশে একটি ভাড়া ঘরে আরেক শ্রমিকের সঙ্গে থাকতেন তিনি। তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাস শনাক্ত ওই শ্রমিকের সংস্পর্শে আসা পাঁচ জনের নমুনা নেওয়া হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
“কারখানার ৫৪১ শ্রমিকের মধ্যে বেশির ভাগ যে যার বাড়িতে রয়েছেন। শুধু কারখানার আশপাশ এলাকায় থাকা ১৩৮ জন কাজে ফিরেছেন।”
বান্দরববানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম হোসেন বলেন, সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে চলার শর্তে কারখানা চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কারখানা ও শ্রমিকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত ওই শ্রমিককে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে এবং সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের সিভিল সার্জন অংসুইপ্রু মারমা।
তিনি বলেন, জেলায় নতুন করে আরও চার জনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ২৩ জনের শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়ল। এর মধ্যে ৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।