ক্ষেতলাল পৌর এলাকার খলিশাগাড়ী গ্রামে ও কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামে মঙ্গলবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জেলার পুলিশ সুপার সালাম কবির জানান।
মৃতরা হলেন- খলিশাগাড়ী গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়নাল মিয়ার স্ত্রী শিল্পী বেগম (২৭) ও তার দুই ছেলে নেওয়াজ মিয়া (৭) নিয়ামুল হোসেন (৩) এবং হারুঞ্জা গ্রামের ছালামত আলীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৭০)।
“পরে তাদের উদ্ধার করে ক্ষেতলাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে নেওয়াজ ও তার কিছুক্ষণ পর শিল্পী ও তার ছোট সন্তান নিয়ামুলের মৃত্যু হয়।“
এ সময় জয়নাল অন্য ঘরে থাকার তিনি প্রাণে বেঁচে যান বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “একই সময় প্রবল ঝড়ে একটি গাছ ভেঙে মরিয়ম বেগমের ঘরের চালার ওপর পড়ে। এ সময় ঘরের দেয়াল ভেঙে চাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়।”
এ ছাড়াও জেলায় প্রায় ২ শতাধিক কাঁচা ও আধাপাকা বাড়ি-ঘর ভেঙে গেছে এবং কয়েক হাজার গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, মৃতদের সৎকারের জন্য ইতোমধ্যে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে; আরও ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের অনুদান প্রদান করা হবে।