ঈদে প্রীতিভোজ: ‘এর দায়ভার জেলা পুলিশ সুপারের’

করোনাভাইরাস রোধে সরকারি বিধিনিষেধের মধ্যে ঈদের দিন প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে মাদারীপুর সদর থানায়।

মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2020, 05:24 PM
Updated : 26 May 2020, 09:51 PM

এ ভোজের ছবিসহ ঈদের দিন দুপুরেই মাদারীপুর জেলা পুলিশের ফেইসবুক পেইজে পোস্ট দেওয়া হয়। যেখানে লেখা হয়েছে, “সচেতন হোন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ থাকুন, নিরাপদ রাখুন

“পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর-২০২০ উপলক্ষে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়”

পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে এ ভোজের খবর ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো কামরুল হাসান মিঞা সাংবাদিকদের বলেন, “ঈদের দিন আমাদের সব সদস্য নিয়ে প্রীতিভোজের আয়োজন করি।

“সেখানে কয়েকজন ব্যক্তিবর্গ আমাদের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন, তাদেরও আমরা প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করিয়েছি। এটা নিয়ে আমি আর কোনো কথা বলতে চাই না।”

তবে পুলিশ ও সাংবাদিকদের ‘মাদারীপুর৥মিডিয়া হাইলাইট‘ নামের হোয়াটস-আপ গ্রুপে প্রশ্ন করলে জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান লেখেন, “জি, এর দায়ভার জেলা পুলিশ সুপারের।”

এদিকে, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি খান মো. শহীদ বলেন, “সরকারি পর্যায়ে করোনাভাইরাস রোধকল্পে যেসব নিয়ন-নীতি নির্ধারণ করেছে, সেটা ব্যক্তি হোক বা প্রতিষ্ঠান হোক তাদের মান্য করা উচিত।

“যদি কেউ নিয়ম না মেনে অনুষ্ঠান করে সেটা অবশ্যই নিয়ম ভঙ্গের শামিল। তাদেরও জবাবদিহি ও আইনের আওতায় আসা উচিত।”

অন্যদিকে, গত ১৫ মে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি ঈদ উদযাপন সংক্রান্ত এক সভা হয়। সভায় মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ঈদে কোনো ধরণের বেড়ানো এবং অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছিল।