মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার স্থলচর এলাকায় এই নৌকাডুবি হয় বলে এনায়েতপুর থানার ওসি মোল্লা মাসুদ পারভেজ জানান।
ওসি জানান, দুর্ঘটনার পর ৫৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৩ জন। হতাহতদের অধিকাংশই ধানকাটা শ্রমিক।
নিহতরা হলেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার গয়নাকান্দি জহির ফকিরের ছেলে পাষাণ ফকির (৬৫), কলাগাছি গ্রামের শামীম হোসেনের ছেলে নাইম (৪) এবং শাহজাদপুরে উপজেলার সুবর্ণতলী গ্রামের মৃত মজিদ মোল্লার ছেলে শেখ কামাল মোল্লা (৪৫)।
ওসি মাসুদ পারভেজ জানান, এনায়েতপুর ঘাট থেকে ইব্রাহিম মাঝির ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকা চৌহালী যাওয়ার পথে স্থলচর এলাকায় পৌঁছলে বাতাসের কবলে পড়ে। ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি যমুনায় ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা ৫৭ জনকে জীবিত ও তিন জনের লাশ উদ্ধার করে। দুই জনের লাশ স্থলচর এবং আরেকজনের লাশ কুকুরিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
ওসি জানান, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। রাতে উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। ঢাকা থেকে ডুবুরি দল আগামীকাল সকালে এসে পৌঁছবে। তারপর নিখোঁদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হবে।
জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের কয়েকজন জানান, তারা শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার শ্রমজীবী। সবাই টাঙ্গাইলের করটিয়া ও মির্জাপুরে ধানকাটার জন্য যাচ্ছিলেন।
নৌকার ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলার জন্য এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের ভাষ্য।