মঙ্গলবার বিকালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালপুকুরিয়া গ্রামের এক মাছের ঘেরের পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত কমলেশ বাড়ৈর (৪২) ওই গ্রামের কেনারাম বাড়ৈর ছেলে। তিনি কাঠ মিস্ত্রীর কাজ করতেন।
কোটালীপাড়া থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, “পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পরে।
“ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের পর কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা কমলেশের লাশ শনাক্ত করেন।”
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈ, সুবর্ণার পরকীয়া প্রেমিক মম্মথ বাড়ৈর ভাই কৃষ্ণ বাড়ৈ, সহযোগী বিষ্ণু বাড়ৈ ও মম্মথর বন্ধু কালু বাড়ৈকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কমলেশ বাড়ৈর ভাই রবেণ বাড়ৈ জানান, কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈর সাথে প্রতিবেশী মাছের ঘের ব্যবসায়ী মম্মথ বাড়ৈর ‘পরকীয়া সম্পর্ক ছিল’। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়।
“সুবর্ণা পরকীয়া প্রেমিক দিয়ে কমলেশকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কমলেশকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পর দিন থেকে কমলেশ নিখোঁজ ছিল।”
গত ৩ মার্চ কমলেশ নিখোঁজের বিষয়ে কোটালীপাড়া থানায় জিডি করেন রবেণ বাড়ৈ।
মঙ্গলবার মম্মথর মাছের ঘেরপাড়ে গ্রামের এক লোক ঘাস কাটতে গিয়ে মাটি খোড়া দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুড়ে কমলেশের লাশ উদ্ধার করে বলে জানান তিনি।
উদ্ধারকৃত লাশটি ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে ওই গ্রামে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।