মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ঢাকার উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান বলে চাঁদপুর বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ জানিয়েছেন।
মতিন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে চারবার সংসদস সদস্য হয়েছিলেন। তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিরও সভাপতি ছিলেন এক সময়।
বিএনপি নেতা ফরিদ বলেন, “এক সপ্তাহ আগে ঢাকার উত্তরায় নিজের বাসায় ব্রেন স্ট্রোক করলে উনাকে (মতিন) উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে সেখানেই তিনি মারা যান।”
মতিনের বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তার এক ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রী চার বছর আগে মারা গেছেন।
ফরিদ বলেন, এম এ মতিন দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। গত দুই মাস ধরে বেশি অসুস্থ ছিলেন তিনি।
“তিনি পরিচিত ছিলেন মতিন স্যার হিসেবে। পেশাগত জীবনের শুরুতে হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলে (বর্তমানে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ) শিক্ষকতা করেছিলেন, সে কারণে এই নাম।”
উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলমগীর কবির পাটওয়ারী জানান, হাজীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন এম এ মতিন।
১৯৭৯ সালে প্রথমবার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাবেক কুমিল্লা-২৩ (বর্তমানে চাঁদপুর-৫) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
চাঁদপুর জেলা গঠিত হওয়ার পর মতিন চাঁদপুর-৫ আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।