সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঝড় বয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
আটপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“এলাকার মানুষ ঈদের নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় হঠাৎ প্রচণ্ড বেগে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়।
“মিনিট ১৫ স্থায়ী ঝড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ছাড়াও বহু গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়ে পল্লীবিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।”
আহতদের মধ্যে মল্লিকপুর গ্রামের এক বৃদ্ধা (৬৫) ও পাঁচ বছরের এক শিশুকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, ঝড়ে সুনই, গোয়াতলা, বরতলি, মুনসুরপুর, নারায়ণপুর, বানিয়াজান, আটিকান্দা, নুনেশ্বর, মল্লিকপুর, দেওগাও, পোখলগাঁও, অভয়পাশা, সীতারামপুর, পাহাড়পুর, স্বমুশিয়াসহ অন্তত ২০টি গ্রামের প্রায় আড়াইশ কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নুনেশ্বর, স্বমুশিয়া, বানিয়াজান ও সুনই ইউনিয়নে।
বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে থাকায় ওই সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আটপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা সুলতানা বলেন, ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তালিকা হওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হবে।