রোববার গভীর রাতে মুসলিম নগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান।
নিহত ফেরদৌস মিয়া (৩০) পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সুরডুগি মুসল্লিবাড়ি এলাকার আব্দুল্লাহর ছেলে। তিনি পোশাক শ্রমিক ছিলেন।
গ্রেপ্তার রাকিব হোসেন (২৯) শরিয়তপুরের পোপনচর গ্রামের সোবহান মিয়ার ছেলে। এই দুই যুবক মুসলিমনগর এলাকায় একই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি আসলাম হোসেন জানান, সদর উপজেলার মুসলিমনগর এলাকার ভাড়া বাড়িতে রাত ১টার দিকে এলাকার লোকজন চিৎকার শুনতে পান। নিহতের স্ত্রী ও প্রতিবেশীরা গিয়ে ওই বাড়ির গোসলখানায় গিয়ে ফেরদৌসকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। ওই সময় রক্তমাখা ছুরি নিয়ে রাকিব পালিয়ে যান।
“খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ফেরদৌসের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ রাকিবকে গ্রেপ্তার করেছে।”
ওসি আরও জানান, নিহতের পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের বোন সাহেরা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী সাদিয়া জানান, এক মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। ফেরদৌসের সাথে রাকিবের বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু কী নিয়ে হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা তিনি জানেন না। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই পোশাক কারখানায় কাজ করেন।