সোমবার উপজেলার বিরাবো বড়বাড়ী এলাকায় ৬৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
মৃত ব্যক্তির ছেলে সাংবাদিকদের বলেন, তার বাবা দীর্ঘ দিন ধরে বহুমুত্র ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। গত ১০ দিন যাবত তার ঠাণ্ড, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সোমবার ভোরে ৩টার দিকে বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, সকালে লাশ স্থানীয় বিরাবো বড়বাড়ী আয়েশা(রাঃ) মসজিদ সামাজিক কবরস্থানে দাফন করার উদ্যোগ নিলে কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমির আলী বাধা দেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং লাশ দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমির আলী বলেন, মৃত ব্যক্তি তাদের সমাজের অন্তুর্ভুক্ত নন। এ কারণে লাশ দাফনে বাধা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাঈদ আল মামুন বলেন, লাশ দাফনের পর জানতে পেরেছি করোনা উপসর্গ জ্বর, ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। কেউ করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে যদি মৃত্যুবরণ করে তার শরীরে ৩/৪ ঘণ্টা পর কোনো ভাইরাস জীবিত থাকে না। তাই লাশ দাফনে কোনো সমস্যা নেই। যারাই লাশ দাফনে বাধা দিয়েছেন সঠিক করেননি। এ উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাফন করা উচিত। এই ব্যক্তির পরিবারের সকল সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
রূপগঞ্জ থানার ভোলাব পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ কিনা জানি না। লাশ দাফনে বাধার দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশের সহায়তায় ওই কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে আরও ১২১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত
করোনাভাইরাস সংক্রমণের অতি ঝুঁকিপূর্ণ জেলা নারায়ণগঞ্জে আরও ১২১ জনের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তবে এদিন আক্রান্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, সোমবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত হয়েচে ২২শ ২৫ জন। করোনাভাইরাসে মারা গেছে ৭২ জন। আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৯৪ জন।
জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১২১ জনের দেহে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ২২শ ২৫ জন।