গত শুক্রবার জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে নিজের ঘর থেকে ২০ বছর বয়সী ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান গোপালগঞ্জে সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম।
ওসি মনিরুল বলেন, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মেয়েটির মরদেহ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গৃহবধূর শরীরে লুকিয়ে রাখা ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করেছে।
“শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ‘মানসিক নির্যাতনের শিকার’ হয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পাওয়া গেছে।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
পুলিশের হাতে আসা হাতের লেখা তিনটি চিরকুটে মেয়েটির নাম লেখা রয়েছে, যেগুলো তার হাতের লেখা বলে পুলিশের ধারণা।
ওই নোটের লেখায় বলা হয়, স্বামীর সংসারে তিনি অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। তাকে কেউ ভালবাসত না। অত্যাচারের মাত্রা সহ্যের বাইরে চলে গিয়েছিল।
তার স্বামীর আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় প্রতিবাদও করতেন না; এবং সেই কারণে ওই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ওই ‘নোটে’ লেখা আছে।
তার মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করারও অনুরোধ রয়েছে ওই ‘সুইসাইড নোটে’।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরমানিকদহ গ্রামের ওই মেয়ের সঙ্গে দুই বছর আগে শহরের মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা শেখ মুজিবুর রহমানের বিয়ে হয়। এই দম্পত্তির ১৪ মাস বয়সের একটি মেয়ে আছে।
ওই গৃহবধূর বাবার মোবাইলে ফোন করলে তিনি বলেন, “আমার মেয়ের ওপর মানসিক অত্যাচার যে করেছে তার নাম আপনাদের সাথে দেখা করে বলতে চাই; ফোনে বলা যাবে না।”
এটা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর থেকে তার মোবাইল পোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে মেয়েটির ভাসুর রবিউল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যন্ত। বিষয়টি মেয়েটির মা, বাবা, ভাই ও বোনদের সঙ্গে বসে মীমাংসা করে ফেলা হয়েছে।”