নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাস আক্রান্তর সংখ্যায় হট স্পট হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। এ জেলা থেকেই বিভিন্ন জেলায় মানুষ যাওয়ায় সেখানে কোভিড-১৯ ছড়াতেও দেখা গেছে।
রোববার নতুন ১৩৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্তের খবর দিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার চার জনে দাঁড়ায় বলে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন।
এদিন নতুন করে দুইজনের মৃত্যুর খবর যোগ করে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, “করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ২১০৪ জন।”
তিনি বলেন, পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া ও লকডাউন তুলে নেওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মাঝে একটু কমলেও আবার বেড়েছে।
“সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে সংক্রমণ কমে আসবে।”
গত ৭ এপ্রিল করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে নারায়ণগঞ্জকে চিহ্নিত করে আইইডিসিআর। ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করে আইএসপিআর। এ রোগে আক্রান্তের হার নারায়ণগঞ্জ সিটি ও সদর উপজেলা এলাকায় বেশি।
জেলার আক্রান্তদের মধ্যে জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামসহ ১১ চিকিৎসক, তিন জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছেন।
আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৬৮৯ জন বলে জানিয়েছেন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রশাসক জসিম উদ্দিন জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পোশাক কারখানা স্বাস্থ্য বিধি মানছেন কি-না তা নজরদারির জন্য নতুন করে কমিটি করা হয়েছে।
নতুন ওই কমিটিতে জনপ্রতিনিধি, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন ওই কমিটি পোশাক কারখানাগুলোয় স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে কি না সেই বিষয়টি দেখবে “
করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য এ জেলা থেকে নয় হাজার ২৯৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।