শনিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সমন্বিত জেলা কমিটির এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, বিপণি কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্তে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জেলার সিভিল সার্জন।
ঈদকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসন বিপণি কেন্দ্র খুলে দিয়েছে। এরপরই ওইসব স্থানে কেনাকাটার ধুম পড়ে গেছে। ব্যাপকভাবে স্বাস্থ্যবিধি লংঘিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বেড়েছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকি।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জেলা প্রশাসনের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে লিখেছেন, “আজ ২৩ মে ২০২০ শনিবার কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় ক্রেতাদের চাহিদা, বিভিন্ন দোকানির ক্রয় করা মালামাল বিক্রয় না হওয়ায় ব্যাপক লসের মুখোমুখি হওয়ায় আগামী ঈদ-উল-ফিতর পর্যন্ত দোকান-পাট, বিক্রয় কেন্দ্র, শপিংমলসমুহ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব প্রতিপালন করে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।”
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ও সাধারণ) ওবাইদুর রহমান বলেন, এর আগে লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের দুরবস্থা নিরসনের দাবির মুখে গত ১০ মে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কঠোর শর্তে মার্কেট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।
“কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় মার্কেট ও শপিংমলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মাঝেই চরমভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মানার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধির শঙ্কায় স্বাস্থ্য বিভাগের সুপারিশ ও বিভিন্ন মহলের দাবির মুখে গত ১৬ মে সকল প্রকার মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।”
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন এইসএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “এ মুহুর্তে এভাবে মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেওয়া মানে হলো- আমরা নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার দড়জা খুলে দিলাম। অনেকটা বলা যায় এই সিদ্ধান্তটা জেলাবাসীর স্বাস্থ্যের জন্য আত্মঘাতি।”
জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।