অস্যংখ্য কাঁচা ও আধাপাকা বাড়ি, বিভিন্ন ধরনের গাছপালা ভেঙে গেছে; লিচু ও আমের প্রায় পুরোটাই নষ্ট হয়েছে।শত শত বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে; তার ছিঁড়েছে অসংখ্য স্থানে। বেনাপোল স্থলবন্দরও বিপুল ক্ষতি মুখে পড়েছে।
বুধবার বিকালে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গে আঘাত করে এবং রাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর রাতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিমের বিভিন্ন জেলার উপর তাণ্ডব চালিয়ে যায়।
বাংলাদেশে এসব অঞ্চলেই আমের চাষ হয় হয় সবচেয়ে বেশি। তাই আম পাড়ার ঠিক আগে আমের ব্যাপক ক্ষতি করে গেছে আম্পান।
তিনি বলেন, “এ বছর আমাদের স্বপ্ন শ্যাষ। আম্পানে ২৫টি বাগানের সব আম পড়ে গেছে। এখন চোখি অন্ধকার দেখছি। ঘূর্ণিঝড় আমাদের পথে বসালো। ধারদেনা করে বাগানের পেছনে খরচ করেলাম। এখন ওদের টাকা দেব কী করে তাই ভাবছি।”
বাগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবীর বকুল বলেন, “এই ইউনিয়নের ১৪টি গ্রাম উলটপালট করে দিয়ে গেছে। কাঁচা ও আধাপাকা সব বাড়ি ভেঙে গেছে। কোনো গাছগাছালি আর ভালো নেই। দুই জন ঘর চাপা পড়ে মারা গেছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার পরিসংখ্যান পরে জানা যাবে।”
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল বলেন, “উপজেলায় কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যার পরিমাণ দেড়শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। আমের ৮০ শতাংশ ঝরে পড়েছে। লিচুর পুরোটাই ঝরে গেছে। আম ও লিচুর ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৩০ কোটি টাকা। পেঁপে ও কলা বাগান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।”
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শার্শা জোনাল অফিসের ডিজিএম হাওলাদার রুহুল আমিন বলেন, “ঘূর্ণিঝড় আম্পানে উপজেলার বিদ্যুৎ সেক্টরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি তো আর টাকায় নিরুপন করা সম্ভব না। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে ধরেন দুইশর উপরে। আমরা এখনও অ্যাসেসমেন্ট করতে পারিনি। তার ছিঁড়েছে কয়েক হাজার জায়গায়।”
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; তবে বাগআচড়া, কায়বা গোগা ও বেনাপোল ইউনিয়নের ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনও পাওয়া যায়নি।
“বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি; তাতে ৩০ হাজারের মতো কাঁচা ও আধাপাকা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করছি।”