শুক্রবার সেনারা নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলায় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবা দেয় বলে জানান সেনাবাহিনীর ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির মেজর কামরুল আহসান।
সেনারা ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি পরিবারের মাঝে এ ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়। কিছু ঘরবাড়ি মেরামত এবং বয়ারচরে বেড়িবাঁধ মেরামতে সহায়তা করে সেনা সদস্যরা।
এসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরো ত্রাণ, চিকিৎসা ও মেরামত কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মেজর কামরুল।
হাতিয়ায় সরকারি হিসেবে এ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ২০ হাজার বলে জানিয়েছেন এ উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
আম্পানের ফলে অস্বাভাবিক জোয়ারের হাতিয়ায় পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, দুইশ কাঁচা ঘর আংশিক ও ৪০টি ঘর পুরোপুরি বিধস্ত, ৮টি মৎস্য খামার ও পাঁচ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলেছেন হাতিয়ার ইউএনও।
এসব দুর্গত এলাকায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী কোনো বরাদ্দ না আসলেও করোনাভাইরাসের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান ইউএনও।
আম্পানে সুবর্ণচরে উপজেলায় ৬৫০ একর জমির সবজি নষ্ট, কয়েকটি কাঁচা ঘর বিধস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ উপজেলার ইউএনও ইবনুল হাসান ইভেন।