কোভিড-১৯: গাইবান্ধায় ফের খুলল বিপণি কেন্দ্র

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে বিপণি কেন্দ্রগুলো বন্ধ করার তিন দিন পর ফের খুলে দেওয়া হয়েছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2020, 03:06 PM
Updated : 22 May 2020, 03:06 PM

ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ঈদের আগে শুক্রবার ও শনিবার এই দুদিনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন জানান।

এর আগে এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে গত সোমবার [১৮ মে] বিকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দোকানপাট ও মার্কেটসমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।

সারা দেশে অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে বন্ধ হওয়ার পর সরকার বিধিনিষেধ শিথিল করলে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে একবার খোলা হয় জেলার বিপণি কেন্দ্রগুলো। এরপর ফের ১৮ মে বন্ধ করা হয়।

শুক্রবার খুলে দেওয়ার পর বিভিন্ন বিপণি কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, নারী-পুরুষ-শিশুর ব্যাপক ভিরের মধ্যে কেনাকাটা চলছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো গরজই যেন কারো মধ্যে নেই।

সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ এবং ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মধ্যে গাইবান্ধা শহরের কাচারী বাজার, পিকে বিশ্বাস রোড, স্টেশন রোড, ডিবি রোডসহ প্রায় সব মার্কেটের দোকানে ঠাসাঠাসি ভিড় দেখা গেছে।

মার্কেট খোলা রাখার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে গাইবান্ধা জুতা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাবু মিয়া বলেন, গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পুলিশ সুপার, গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র, গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, জেলা দোকান মালিক সমিতি, জেলা দোকান কর্মচারী সমিতিসহ অন্যান্যদের এক জরুরি বৈঠক হয়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ওই বৈঠকের পর তার মৌখিক নির্দেশেই তারা আবার মার্কেট খুলেছেন বলে বাবু মিয়া জানান।

গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাকসুদার রহমান শাহান বলেন, দীর্ঘদিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গত দফায় মার্কেট খুলে দেওয়ায় তারা ধার দেনা করে ঈদে ব্যবসা করার জন্য মালামাল নিয়ে আসেন। পরে বন্ধ করে দিলে সেসব আটকা পড়ে। অন্যদিকে ঘরভাড়া, কর্মচারীদের বেতন বাকি পড়ে আছে।

“তাদের অন্তত দুদিন ব্যবসা করে কিছুটা পুষিয়ে দেওয়ার জন্যই দোকান খোলা। তবে স্বাস্থ্যবিধি সকলকে মানতে হবে।”

জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বলেন, “ব্যবসায়ীদের মৌখিক আবেদনের প্রেক্ষিতে ঈদের আগে শুক্রবার ও শনিবার এই দুইদিন দোকান ও মার্কেটগুলো খুলে রাখার ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।”