ঝালকাঠিতে ইউপি সদস্যর স্ত্রীর লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রী-হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

ঝালকাঠি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2020, 02:16 PM
Updated : 22 May 2020, 02:16 PM

শুক্রবার বিকালে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনে ওই ইউপি সদস্যের বিচার দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে মৃতের বাবার বাড়ির স্বজনরা।

বিক্ষোভের সময় পুলিশ বিচারের আশ্বাস দিলে মৃতের বাবার বাড়িতে দাফনের জন্য মরদেহ নিয়ে যায় তারা।

প্রয়াত রুনা লায়লা (২৬) রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. কুদ্দুস হোসেনের স্ত্রী। দুই সন্তানের মা এ নারী একই উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের ডহশংকর এলাকার মো. নুর হোসেন গাজীর মেয়ে।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজাপুরের নারিকেল বাড়িয়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে তার শোবারঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় রুনা লায়লার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃতের বাবা নুর হোসেন গাজীর তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগ করেছেন।

শুক্রবার বিকালে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউপি সদস্য কুদ্দুসের সাথে তাদের সম্পর্ক ভালো না থাকায় তার মেয়েকে বাবার বাড়িতে আসতে দেওয়া হত না।

“দীর্ঘ দিন ধরে ইউপি সদস্য কুদ্দুস রুনা লায়লাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। বৃহস্পতিবারও তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়।”

হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেও বাবার বাড়ি যেতে চাওয়ায় মৃত্যুর আগে রুনাকে ‘ধমকানোর’ কথা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন এই ইউপি সদস্য।

ইউপি সদস্য কুদ্দুসের সাংবাদিকদের কাছে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে স্ত্রী রুনা লায়লা তার কাছে বাবার বাড়ি যাওয়ার আবদার করে। এসময় তিনি রুনাকে ধমক দিয়ে ঘরের বাইরে যান। কিছুক্ষণ পর ঘরে ফিরে শোবারঘরে ওড়না গলায় জড়িয়ে আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার স্ত্রীকে দেখতে পান বলে দাবি করেন।

পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। কী কারণে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে তা রিপোর্ট আসার পরে জানা যাবে।

তবে এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাতেই একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।