কক্সবাজারে ‘কর্মহীন-হতদরিদ্রদের’ বিনামূল্যে চাল-সবজি দিল সেনাবাহিনী

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ও করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের সহায়তার জন্য কক্সবাজারে বিনামূল্যে চালু-সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দিয়েছে সেনাবাহিনী।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2020, 09:42 AM
Updated : 22 May 2020, 09:42 AM

শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের উদ্যোগে আয়োজিত বিনামূল্যের আধা-ঘণ্টার এ ‘সেনাবাজার’  উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

নিত্যপণ্য সংগ্রহ করতে আসা লোকজনদের জন্য এখানে ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’-এর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা গ্রহণেরও সুযোগ থাকছে।

উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের স্টেশন অফিসার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম এ মহি ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমদসহ সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের গণমাধ্যম সমন্বয়কারী মেজর তানজিলুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে চালু হওয়া এ সেনাবাজারে আসা মানুষজন চাল, ডাল, আটা, তেল ও লবণসহ বিভিন্ন ধরণের সবজি সংগ্রহ করতে পারবে। নির্ধরিত দিনে ও নির্ধারিত স্থানে সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে এ বাজার বসবে। আধা-ঘণ্টার এ বাজারে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ‘কর্মহীন ও হতদরিদ্র’ যে কোন মানুষ তার নিত্য প্রয়োজনী দ্রব্যাদি সংগ্রহ করতে পারবে।”

ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সময়ে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দুর্গত এবং করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কর্মহীন ও অসহায় মানুষদের সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী বিনামূল্যের এ ‘সেনাবাজার’ চালু করেছে বলে জানান এ সেনা কর্মকর্তা। 

তিনি বলেন, ““প্রথমদিনে ১ হাজারের বেশি মানুষ এ সেনাবাজার থেকে সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য সংগ্রহ করেছে। এছাড়া ২ শতাধিক মানুষকে সেনাবাজারে চালু হওয়া ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। সেনা সস্যরা প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সবজিসহ অন্য নিত্যপণ্য কিনে এনে এ বাজারে যোগান দিচ্ছে। এতে ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও লকডাউনের কারণে মাঠ পর্যায়ের প্রান্তিক কৃষকদেরও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হয়েছে।“

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে আসা লোকজনকে বাজারের প্রবেশ পথে জীবানুনাশক স্প্রে করার পরেই ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান মেজর তানজিলুর।