ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সোমবার বিকাল ৩টা থেকে এই নৌরুট দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফলে জনশূন্য এ ঘাটের চারপাশে এখন শুধুই নীরবতা।তবে বৃহস্পতিবার কিছু লোক পারাপারের আশায় শিমুলিয়া আসে বলে মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান।
সিরাজুল বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে শিশুলিয়া ঘাটে কড়া নজরদারি করছে নৌ-পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবারও ভেঙ্গে ভেঙ্গে কিছু যাত্রী আসছে মাওয়ার দিকে।
“তবে তারা শিমুলিয়া ঘাটে না গিয়ে মাওয়া চৌরাস্তা থেকে পশ্চিমে পুরাতন ফেরি ঘাটে চলে যাচ্ছে। সেখানে একটি সিন্ডিকেট ট্রলার ও সিবোট দিয়ে ওপারে চর জানাজাত ঘাটে এসব যাত্রীদের পারাপার করছিল। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ৫টি ট্রলার জব্দ এবং যাত্রী নামিয়ে এর মধ্যে দুটি ট্রলার পদ্মায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুটি সিবোটও জব্দ করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, বুধবার গভীর রাতে এগুলো পার করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘাটে নতুন করে আরও পণ্যবাহী প্রায় ৪০০ ট্রাক এসেছে। সুযোগমত জণস্বার্থে এগুলো পার করে দেওয়া হবে। এছাড়া জরুরি পরিসেবার কোন গাড়ি আসথে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সেগুলো পার করা হবে।
তবে কোনভাবেই এখন এই ঘাট দিয়ে কোন যাত্রীবাহী গাড়ি বা যাত্রী পার করা হবে না বলে জানান সিরাজুল।