এছাড়া আউশের বীজতলা ভেসে, বেড়িবাঁধ ভেঙে, গাছপালা পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ প্রাথমিক তদন্তের তথ্য দিয়ে বলেন, বুধবার রাতের এ ঝড়ে ৩৫০টি বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে, প্লাবিত হয়েছে ২০০ বাড়িঘর, আর চার হাজার ৬৪৯টি বাড়িঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
সব ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ করছে বলে তিনি জানান।
জেলার রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা খালেদ কনক বলেন, আম্পানের প্রভাবে জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে বাগেরহাটে চার হাজার ৬৩৫টি মাছের ঘের ভেসে গেছে বলে এখন পর্যন্ত জানা গেছে। এতে দুই কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে হিসাব করা হয়েছে।
বাগেরহাটে ৭৮ হাজার ১০০টি মাছের ঘের রয়েছে বলে তিনি জানান।
আউশের বীজতলা ও গ্রীষ্মকালীন সবজিরও ক্ষতি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক রঘুনাথ কর বলেন, জলোচ্ছ্বাস ও অতিবর্ষণে মাঠের গ্রীষ্মকালীন সবজি ও আউশ ধানের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে।
রঘুনাথ বলেন, জেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে পাট, সাড়ে তিন শ হেক্টরে আউশ ধানের বীজতলা, এক হাজার ১০০ হেক্টরে পান ও চার হাজার হেক্টরে গ্রীষ্মকালীন সবজির চাষ হয়েছে।
চাষিরা বলছেন, কোথাও কোথাও ভেড়িবাঁধ ও রাস্তা উপচে এবং কোথাও কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। এতে ঘেরের মাছ বেরিয়ে গেছে।