জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর জেলা শহরের কামালনগরে আমগাছ গাছ ভেঙে পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত নারীর নাম পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আমপানের প্রভাবে জেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে; রয়েছে প্রবল ঝড়ো হাওয়া। জেলার কোনো কোনো স্থানে সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই।
এদিকে, আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায় কয়েকটি ইউনিয়নের ১২টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিযেছেন।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী জানান, আশাশুনির দয়ার ঘাট এলাকায় একটি এবং প্রতাপনগরে চারটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।
শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়নের দুইটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢোকা শুরেু করেছে বলে জানান এই ইনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মণ্ডল।
শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, গাবুরা ইউনিয়নের দুইটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢোকা শুরু হয়েছে।
পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, ইউনিয়নের উপবকূলীয় তিনটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে জনবসতি এলকায় পানি ঢুকছে।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, উপকূলীয় এলাকার ১৮৪৫টি কেন্দ্রে দুই লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাছাড়া ২৩ হাজার ৪৯০টি গৃহপালিত প্রাণীকেও নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। আর জরুরি প্রয়োজনে ১০৩টি মেডিকেল টিম কাজ করে যাচ্ছে।
এ জন্য কাজ করছেন পুলিশ, বিজিবি, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা।